চোখের ইশারায়, কদম ফুলের হাসি, সাত দিন, পরান-পাখি
চোখের ইশারায়
হঠাৎ বৃষ্টি দারুণ সৃষ্টি বন্ধু ভিজে যায়
হৃদয় আমার ছবি আঁকে চোখের ইশারায়।
চমকে চমকিত হই পুলকে আচ্ছাদিত
চিত্ত নৃত্য করে ওঠে চলে অবিরত
ভিজে ভিজে বন্ধু এ কোন আলো ছড়ায়?
এ যে আগুনের জলছাপ
হৃদয় উথলিয়া ওঠে কিছুতেই থামে না উত্তাপ।
ঝর-ঝর-ঝরছে বৃষ্টি সে তো থামছে না
বন্ধুকে লাগছে দারুণ মিষ্টি মন তো মানছে না
ভিজে ভিজে প্রিয় এ কোন আগুন ছড়ায়।
আরও পড়ুন খোন্দকার আমিনুজ্জামানের কবিতা-
মানবিকতা
অপেক্ষা
সাদা মন
কদম ফুলে হাসি
বাদল বসন্তে হৃদ আকাশে দোলা দেয় গো কদম ফুলের হাসি
বন্ধুর বাড়ির কদম ফুল আমি কতো ভালোবাসি।
বন্ধুর বাড়ির কাঁচামিঠা আম গাছে গাছে ঝুলছে
ভেবে ভেবেই মনটা আমার দোল দোল দুলছে
এমন ভালোবাসা কখনও হবে না হবে না বাসি।
এখন সেখানে বাদল বাতাসে ধোয়ামোছা সবুজের হাতছানি
বার বার সেথায় ছুটে যেতে চায় আমার হৃদয়খানি
এই সবুজ পাঠে মুগ্ধতা আছে রাশি রাশি।
বন্ধুর বাড়ি যেতে হাঁটাপথের দু-পাশ সবুজে মোড়ানো
সেই পথেও আমার ভালোবাসা আছে ছড়ানো
এতসব মুগ্ধতারা আড়ালে হাসে যখন হৃদয়ে ভাসে
বন্ধুর মোহন হাসি।
সাত দিন
সাত দিন ছিল বন্ধ
গ্রামে গিয়েছিলাম পেতে কিছু গন্ধ
সেখানে আকাশে বাতাসে ঘরে বাইরে আহারে সে কী সুর-ছন্দ!
মাঠের ধারে কান পাতলে শোনা যায় রাখালের গান
বাদ্যযন্ত্র ছাড়া সেইসব গান জুড়ায় মনপ্রাণ
মুহূর্তেই হয়ে যেতে হয় মুগ্ধ।
ধূসর স্মৃতি তাজা হয়ে মন যেন প্রাণ ফিরে পায়
মায়ের আঁচলের ঘ্রাণ, প্রাণ ভরে যায়।
সেখানে পূর্ণিমা রাতে জ্যোৎস্না যেন ভেঙে পড়ে
ঝিরিঝিরি দক্ষিণ হাওয়া আহা কী হাওয়ারে
দেহ-মন-প্রাণে জেগে ওঠে মহানন্দ।
পরাণ-পাখি
এক পলকে চইলা যাবে আমার পরাণ-পাখি
একসাথে আছি দুজনে কতো মাখামাখি
চইলা যাবে আমার পরাণ-পাখি।
ভালোবাসার দেওয়া-নেওয়া আছে যথাযথ
চলার পথে ভুলত্রুটিও আছে শত শত
চলে গেলে পরাণ-পাখি বন্ধ হবে আমার আঁখি।
পরাণ-পাখির মর্ম আমি বুঝিনি তো আগে
সে যে নূরের জ্যোতি মহামতি আছে আমার সাথে
পাখি আমার পরাণ-পাখি যতনেতে বুকে রাখি।
পরাণ-পাখি দেখতে হলে কররে মন অন্বেষণ
সাধক দিলে দিল মিলালে আসবে শুভক্ষণ
ধ্যানে-জ্ঞানে খুলতে হবে অন্তরের আঁখি।
আরও পড়ুন কবিতা-
ভেজালের সমারোহ
ঢাকা শহর
অচিন পাখি
ঘুরে আসুন আমাদের সুজানগর এর অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজে
চোখের ইশারায়