কৃষকের ধান, ভালো লাগে এই দেশ, স্মরণ
কৃষকের ধান
মো. শরিফুল ইসলাম
যত দূরে মোর দৃষ্টি মেলে দেখি যে সোনার ধান
মাথার উপরে বিশাল আকাশ গাঁয়ে মানুষের তান।
কাঁচা নাড়ার সুবাস ভাসে কাস্তের পোঁচে পোঁচে
ধানের আগায় সোনার বাইল দক্ষিণা বাতাসে নাচে।
পতিত ভূমিতে ঘাম ঝরিয়ে ফলিছে ভূমিতে সোনা
কৃষক নাচে দেখিয়া আজ ধানের সোনার দানা।
রোদ্রে সোনা বাইল চক চক করে কৃষকের মনে হাস
এই সোনা লয়ে যত্নে রাখিয়া খাইবে বারো মাস।
শরীর পোড়া গন্ধ যে আজ ধানের সুবাসে ম্লান
দুঃখ যাতনা ভুলিয়া আজ কণ্ঠে মধুর গান।
কাটিয়া ধান সিন্নি বিলাবে মন্দিরে দিবে প্রসাদ
স্রষ্টার খুশিতে ভুলবে যাতনা মনে কৃষকের স্বাদ।
সবারে অন্ন জুটিতে আজ সুখের নিদ্রা হারাম
খুশি হলে সব স্রষ্টার সৃষ্টি কৃষকের মনে আরাম।
ভালো লাগে এই দেশ
ভালো লাগে এই দেশ প্রকৃতির ছবি
ভালোবেসে তাই আমি হয়ে যাই কবি।
সকালে সোনা রবি পূব দিকে ওঠে
কৃষক সোনা রোদে মাঠ পানে ছোটে।
সবুজে শিশির কণা ধানে দেয় দোলা
ঘাসের ডগায় ফড়িং ছানা করে খেলা।
কোকিল ডাকে কু-উ-হু কু-উ-হু দারুণ মিষ্টি সুরে
ষড় ঋতুর দারুণ হাওয়া নিয়মিত ঘোরে।
দক্ষিণ পুবাল হাওয়া প্রাণে দেয় দোলা
পশ্চিম আকাশে ডুবে যায় বেলা।
ছোটো ছোটো সোনা ঘর, ছোটো ছোটো বাড়ি
মিলে মিশে থাকে গাঁয়ে পুরুষ আর নারী
মায়াময় ছায়াময় কি দারুণ হাওয়া
এই বুঝি আমাদের সেরা সুখ পাওয়া।
স্মরণ
মরণ যখন দিবা প্রভু, আর্জি তোমার দ্বারে
লাইলাতুল ক্বদরের রাতে, সিজদাহ নত শিরে।
দিনটা দিও জুম্মা বারের ফজরের ওয়াক্তে
দাফন কাফন শেষ করিবে জুমার ওয়াক্তে।
সওয়াল জওয়াব সহজ করে কবর করো শান্তি
জান্নাত নামের জায়গায় দিয়ো আমার মহাশান্তি।
তোমার কাছে আছে সবই কইরো মোরে দান
তুমি ছাড়া কে বুঝে আর এই দুঃখীর বেদন।
তুমি মালিক আমি ফকির চাইগো তোমার দ্বারে
তুমি ছাড়া কেউ নেইতো দিতে এসব পারে।
তোমার হাতেই জীবন আমার তোমার হাতেই মরণ
তৌফিক দিও আমায় প্রভু করতে তোমায় স্মরণ।
তুমি ছাড়া নেইকো গতি আমার চলার পথে
চলতে পারি আমি যেন তোমার দেওয়া রথে।
এই মিনতি আর কিছু নয় কইরো আশা পূরণ
তুমি মালিক আমি ফকির এইতো আমার স্মরণ।
ঘুরে আসুন আমাদের সুজানগর-এর অফিসিয়াল ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলে
কৃষকের ধান