অনন্ত, হয়ে গেল, বাঁকা দুটি আঁখি, কবি ও কবিতা
অনন্ত
এক পলক দেখেছিলাম যারে
সেই ঝলক উঁকি মারে বারে বারে।
পলক ঝলকেই সেই স্নিগ্ধ হাতছানি
হৃদয়ে এঁকে চলে অনন্য ছবিখানি
আমি বিমোহিত হয়ে খুঁজি তারে।
পূর্ণিমা আসে মাসে বর্ষা বর্ষে আসে
তুমি এলে সারাটাক্ষণ থাকবো পাশে।
শীত যায় আসে বসন্ত শরৎ হেমন্ত
তোমাকে এঁকেছি হৃদয়ে তুমি তাই অনন্ত
আমি বুক ভরা আশা নিয়ে খুঁজে ফিরি তারে।
আরও পড়ুন খোন্দকার আমিনুজ্জামানের কবিতা-
শরৎ
স্বপ্ন সরসা
শিউলি সুবাস
দেশের মাটি
হয়ে গেল
দেখা হলো কথা হলো কী থেকে কী হয়ে গেল
মধুর কাঁপন উঠিলো
এক নবীনা আমার দিকে চেয়ে মিষ্টি হেসে দিলো
আমার পরান কাড়িলো।
শিহরিত হই আমি পুলকিত হই
মধুর কাঁপনে হৃদয় করে থই থই
এক নবীন ভালোবাসা হৃদয়ে আমার ডানা মেলিলো।
নব নবীনার চোখেমুখে প্রেমের ইশারা
তার প্রেম-পিয়াসে আমি হই পাগলপারা।
সে তার মুখের মিষ্টি ভাষা রেখে
চোখে প্রেমের রং মেখে
আমায় কাছে ডাকিলো।
বাঁকা দুটি আঁখি
তোমার ঐ কাজল কালো বাঁকা দুটি আঁখি
এ যে আমার প্রথম ভালোবাসা যতনেতে বুকে রাখি
আহা কাজল কালো বাঁকা দুটি আঁখি।
যেদিন আঁখি দুটি রাখিলে আমার আঁখি পানে
সেদিনই আমার ভালোবাসা উথলিয়া ওঠে
আর সুর তোলে গানে গানে
আহা এমন আঁখি অন্তরে এসে করে মাখামাখি।
আমি যে দিকে আঁখি পাতি সে দিকেই তোমারে দেখি
আর ছড়া-ছন্দ-কবিতা গান-প্রবন্ধ কতো যে কী লেখি
আহা যেন মন দিয়ে আঁকা দুটি আঁখি অন্তরে ধরে রাখি।
কবি ও কবিতা
কবি তোমা হতে আমি এমন কবিতা চাই
সহমর্মিতা-সম্প্রীতি জাগিয়ে তুলতে যে কবিতার বিকল্প নাই।
ত্রস্ত ও ভীত মুখই এখন যেন বাংলার মুখ পৃথিবীর মুখ
কবিতার ইন্দ্রজাল ফিরাতে পারে সৌহার্দ্য সুখ
এমন লেখা যেন কবি থেকে পাই।
শব্দের জাদুমন্ত্রে জাগুক প্রাণে প্রাণে ভ্রাতৃত্ববোধ
মন খারাপের আঁধার কবিতা করুক গতিরোধ
এমন কবিতা আমি চাই।
চতুর্মুখী ধেয়ে আসা আঁধারে লুট হচ্ছে আনন্দ আলো
কবিতার কণ্ঠ ও শক্তি তাড়াতে পারে সকল কালো
এখানে নির্লিপ্ত থাকার কোনও সুযোগ কবির নাই।
স্বার্থের কাছে কবি বিবেক বিবস্ত্র করে না
নারী ও প্রকৃতি বর্ণনাই কবির কাছে মুখ্য না
সত্য ও শক্তির সরসা পথে অনিবার্ণ কবিতা চাই।
আরও পড়ুন কবিতা-
শ্রাবণ ধারা
ন্যায়ের যুদ্ধ
কেয়ামত
ঘুরে আসুন আমাদের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজে
অনন্ত